ইসলামে প্রেম হালাল নাকি হারাম

আজকাল পশ্চিমা বিশ্বের মতই আমাদের দেশেও নানাবিধ অশ্লিলতা ও চরিত্রহীনতা সীমা অতিক্রম করেছে।পশ্চিমা মিডিয়া ও পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত পার্শবর্তি দেশগুলো মিডিয়ার (স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল) মাধ্যমে ব্যাপক সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে। এর প্রভাব আমাদের দেশের মিডিয়াতেও। ফলে বেশ ঘটা করেই পালন করা হচ্ছে বিশ্ব ভালবাসা দিবস। আর দিবসে প্রেমিকজুটিদের নিয়ে টিভি চ্যানেলগুলো আয়োজন করছে নানা অনুষ্ঠানের। যা দেশে আমাদের শিশু কিশোররাও উৎসাহিত হচ্ছে এ পথে। আর এতে অনেকের মনে বধ্যমূল ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে এটি যেন জীবনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই জেনে নেয়া যাক- ইসলামে প্রেমে অবস্থান কোথায়? অনেকেই জিঙ্গাসা করেন যে ইসলামে প্রেম হালাল নাকি হারাম? আবার অনেকে বলেন যে, যদি কোনো পর্দা ভাঙ্গা না হয় তাহলে কি এটা হালাল? তাই এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলছে তা জেনে নেয়া যাক- হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “লালসার দৃষ্টি চোখের ব্যভিচার, লালসার বাক্যালাপ জিহবার ব্যভিচার, কামভাবে স্পর্শ করা হাতের ব্যভিচার, এ উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের ব্যভিচার, অশ্লীল কথাবার্তা শোনা কানের ব্যভিচার, কামনা বাসনা মনের ব্যভিচার, গুপ্তাঙ্গ-যা বাস্তবে রূপদান করে কিংবা দমন করে।”(বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি) উমর (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন পুরুষ যখন কোন নারীর সাথে একান্তে থাকে, তখন তাদের মাঝে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয় স্বয়ং শয়তান তাদের মাঝে ভাবাবেগকে উৎসাহিত করে এবং উভয়ের মাঝে খারাপ কুমন্ত্রণা দিতে থাকে এবং সর্বশেষে লজ্জাকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। সুতরাং বোঝা যায় যে নিভৃতে বেগানা নারী পুরুষ এক সাথে নির্জন স্হানে বসা যায়েয নেই। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বলেনঃ “হে আলী! তুমি একবার তাকাবার পর পুনর্বার তাকাবে না। তোমার প্রথম দৃষ্টিপাত ক্ষমার যোগ্য কিন্তু দ্বিতীয়বার নয়।” এক্ষেত্রে কোরআনে কালামের নিম্নোক্ত আয়াত প্রণিধানযোগ্যঃ আল্লাহ পাক বলেনঃ “তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে পরপুরুষদের সাথে কোমল কন্ঠে কথ বলবে না। তা হলে যার অন্তরে রোগ আছে, সে প্রলুব্ধ হয়ে পড়বে। তোমরা স্বাভাবিক ভাবে কথা বল।” (সুরা আহযাব-৩২) অনেকেই বলতে পারেন যে আমরা প্রেম করলে তো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলবো। কন্ঠ কোমল করবো না।তাদেরকে বলতে চাই, এই আয়াতের দ্বারা তাফসীরবিদগণ প্রয়োজনীয় কথা বার্তা ছাড়া অন্যান্য কথাবার্তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। যেমন আল্লামা আলুসী রঃ বলেনঃ “ভিন্ন পুরুষদের কথার জবাব দেয়ার সময় তোমরা বিনয় ও নম্রতাপূর্ণ এবং নারীসুলভ কোমল ও নরম স্বরে কথা বলবে না, যেমন করে সংশয়পূর্ণ মানসিকতাসম্পন্ন ও চরিত্রহীনা মেয়ে লোকেরা বলে থাকে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর